Menu:

একজন মামুনার রশিদের গল্প

‘বাংলার মাটি নাকি সোনার চেয়েও খাঁটি। তাই এই মাটিকে নিয়েই আমি সারাজীবন কাটাতে চাই। বিশ্বের কাছে বাংলার মাটি যেন সোনার চেয়েও খাঁটি বলে মনে হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই আমি কাজ করছি।’ কাজের কথা উঠতেই এভাবেই বললেন মামুনার রশিদ। পুরোনাম সৈয়দ মামুনার রশিদ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে গেলেই দেখা মেলে এই মানুষটির। চুপ করে এক দৃষ্টে তাকিয়ে আছেন নিজের গড়া ভাষ্কর্যের দিকে। দুহাত কাদায় মাখামাখি। গভীর দৃষ্টিতে তাকাচ্ছেন আর মাঝে মধ্যে হাত লাগাচ্ছেন ভাষ্কর্যের এখানে-ওখানে। তবে এখানেই তার বিশেষত্বের শেষ নেই। ভুলোভালা এই মানুষটি গড়ে ফেলেছেন দেশের সবচেয়ে বড় মৃৎশিল্প।
বাংলাদেশের মৃৎশিল্পের আদি ইতিহাস বেশ পুরাতন। এক সময় বাঙালীর উনুন থেকে শুরু করে ভাত রাধাঁও হতো মাটির বাসনেই। আবহমান কাল থেকে এদেশের কুমাররা চাক ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একতাল মাটি থেকে বের করে এনেছেন নানান ধরণের শিল্প সামগ্রী। কুমারদের কাজ দেখেই আগ্রহ তৈরি হয় মৃৎশিল্পে কাজ করার। নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বললেন, বিভাগের ফিল্ড ওয়ার্কে একদিন গেলাম রাজশাহীর মোহনপুরের পালপাড়ায়। সেখানে গিয়ে দেখলাম সনাতন পদ্ধতিতে কুমাররা কিভাবে নিজেদের তৈরি জিনিসপত্র পুড়ায়। দেখলাম তাদের তৈরি বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির পুতুল। দাম কম হবার কারণে আমরা একেকজন ১০/১২টা করে পুতুল কিনে ফেললাম। আমার স্যার বললেন, মামুন এরকম কিছু একটা নিয়ে কাজ করো না। আমি বললাম, করব স্যার, তবে আমার নিজের মত করে।’
সেই শুরু। তারপর আর ভাববার সময় ছিলো না। দেড়মাস একটানা খেটে খুটে ঐতিহ্যবাহী মাটির পুতুলের আকারে ঢাউস পুতুল পড়লেন। গ্রপ শিক্ষক দেখে বললেন, মামুন তুমি জানো না তুমি কি করেছ। এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মৃৎশিল্প। তিনি বললেন, আমি কখনও ভাবিনি আমার এই কাজটা এত বড় মাপের হবে। স্যারের কথা শুনে বুঝলাম।’ তবে এত বড় কাজের জন্য কম ‘হ্যাপা’ পোহাতে হয় নি তাকে। বিভাগের চুল্লিটি ছোট। তাই দেড়-দুই ফুটের ওপর কাজ করা যায় না। কাজ করলে পোড়ানো সমস্যা। তাই শেষ পর্যন- নিজের শিল্পটি গড়েছেন ছোট ছোট খন্ডে। তারপর সনাতন পদ্ধতিতে পুড়িয়ে তৈরি করেছেন প্রায় ১০ ফুট লম্বা এই শিল্পের আদলটি। তিনি বললেন, আমি প্রতিদিন প্রায় ৮ ঘন্টা শ্রম দিয়েছি। মাটি তো নরম। তাই একটু একটু করে গড়ে তারপর অপেক্ষা করেছি শুকানোর জন্য। ওই অংশ শুকিয়ে গেলে পরবর্তী অংশে হাত দিয়েছি। এভাবে তিল তিল করে প্রায় দেড়মাস ধরে তৈরি করেছি পুরো শিল্পকর্মটি। আর প্রায় অসম্ভব এই কাজে সব সময় উৎসাহ যুগিয়েছেন বিভাগের শিক্ষক নুরুল আমীন। বিভাগের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও প্রেরণা যুগিয়েছেন কাজে।
বিভাগের শিক্ষক ও শিল্প সমালোচক এ এইচ এম তাহমিদুর রহমানের ভাষায়, বিশ্বাস করা যায় না। প্রদর্শন কক্ষের ছাদ ছুঁই ছুঁই এই শিল্প কর্মটি যেন বাংলাদেশের মৃৎশিল্পের প্রতিনিধিত্ব করছে।... আধুনিক শিল্পে রূপ ও আঙ্গিঁক নিয়ে পরীক্ষায় যে দুঃসাহস দেখা যায় মামুনের শিল্পকর্মে তা রয়েছে। সুব্রানিয়াম আধুনিকতার যে অবস'ানে পৌছেছিলেন তা শিখরসম। সৈয়দ মামুনের শিল্পে সেই ইঙ্গিত পাওয়া যায়।’
এতো গেল শিল্প সমালোচকের কথা। যিনি এই কীর্তির নির্মাতা তার কথা শুনুন।‘ বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটিরপুতুল এখন বিলুপ্ত প্রায়। আমি আমার শিল্পের মাধ্যমে চেষ্টা করেছি সেই ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে। সেই সঙ্গে বাংলার ঐশ্বর্যময় মৃৎশিল্পকেও আধুনিক করতে চাই আমি।’ কিভাবে? ‘ এদেশের কুমার বা পালরা খুবই চড়া শ্রমে জিনিসপত্র তৈরি করে নিম্ন মুল্যে বিক্রি করে। মোহনপুরের পালপাড়ায় গিয়ে আমি মাটির পুতুল কিনেছিলাম একটাকা দিয়ে। তাই আমার পরিকল্পনা রয়েছে এসব মৃৎশিল্পীদের আধুনিক ধ্যান-ধারনা আর প্রযুক্তিগত শিক্ষা দিয়ে উন্নত করার।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনীর সকল মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পুরষ্কার পেয়েছে সৈয়দ মামুনের গড়া ‘ পূর্নবিকশিত হওয়া’ শিরোনামের এই মৃৎশিল্পটি। তবে এখানেই থেমে থাকতে চান না তিনি। বললেন, সোনার বাংলার মাটি নাকি সোনার চেয়ে খাঁটি। আমি আমার শিল্পের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলার মাটিকে সোনার মতই দামি করে তুলব। আমি এই মাটির স্পর্শ নিয়েই পৃথিবী ছাড়তে চাই।’ মুল পাতায় যান


চত্বরময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছেন। দুপাশের ভবনের ফাঁকে ফাঁকে নানা মনোহর দৃশ্য আপনার নজর কাড়বে। শহীদ মিনারের ফুলের বাগান তো এখন নানান ফুলে নানা রঙের ছড়াছড়ি। কোথাও হলুদ, কোথাও গোলাপী আবার কোথাও বা সবুজ ঘাস আর ফুলের রং মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। বিভিন্ন ভবনের ভেতরের নয়নাভিরাম ফুলের বাগানও হয়ত বুকের ধুকধুকানি বাড়িয়ে দেবে আপনার। আপনি হয়ত মনের অজান্তেই বলে ফেলবেন‘ বাহ! দারুন তো!’
তবে এসব ছাপিয়ে মাঝে মাঝে অনেকেরই চোখ কপালে ওঠার দশা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে শিার্থীদের আড্ডাস্থল বিভিন্ন চত্বরের নামের বাহার। ইবলিশ চত্বর! ভকেট চত্বর! আপনি হয়ত অস্ফুটে আতংকিত হয়ে বলে ফেলবেন, একি রে বাবা! এমন নামতো কখনও শুনিনি! তবে সত্যিটা হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব চত্বরেই দিনের পর দিন শিার্থীদের আড্ডাস্থল থাকতে থাকতে এখন অনেকটাই ক্যাম্পাসের অংশ হয়ে গেছে। এখন এসব চত্বরই প্রাণ দেয় ক্যাম্পাসকে। তবে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও আড্ডার বিরাম নেই এসব চত্বরে। আর চত্বর ফাঁকা তো ক্যাম্পাস প্রাণহীন। আসুন এবার ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যাক আর কি কি চত্বর আছে এখানে।
ইবলিস চত্বর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে পুরানো ও জনপ্রিয় ইবলিস চত্বর। ক্যাম্পাসের কাজলা গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকলে মমতাজ উদ্দীন কলা ভবনের পশ্চিম পাশের মাঠই ইবলিশ চত্বর। ফোকলোর বিভাগের প্রভাষক জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু জানালেন, শুরু থেকেই এই মাঠে বিভিন্ন খারাপ কাজ হয়। নেশা করা, মেয়েদের উত্যক্ত করা, অনেক রাত পর্যন- আড্ডা দেয়া হতো। সম্ভবত এ কারণেই এই চত্বরের নাম হয়েছে ‘ইবলিশ চত্বর’। তবে এর অন্য ব্যাখ্যাও আছে। অনেকে বলেন, এই চত্বরে আগে ছেলে-মেয়েতে একসাথে আড্ডা চলতো বলে ইসলামী ছাত্র শিবির এর নাম রেখেছেন ‘ইবলিস চত্বর’। তবে আরেকটা ভিন্নমতও রয়েছে। স্বাধীনতার আগে কোন এক সময়ে এই চত্বরে ‘ইবলিশ’ নাটক করেছিলেন শিার্থীরা। আর সেখান থেকেই এই চত্বরের নামকরণ হয়ে গেছে ইবলিশ চত্বর।
ফোকলোর চত্বর
এটা ইবলিশ চত্বরের একাংশের নাম। ১৯৯৮ সালে ফোকলোর আড্ডা কমিটি গঠিত হয়। পরের বছর ১১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বর্তমানে যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার জামিউল আহসান শিপন ও মহাসচিব রুহুল আমিনের উদ্যোগে কৃষ্ণচূড়া এবং রাধাচূড়া গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ চত্বরের নাম রাখা হয় ফোকলোর চত্বর। মূলত ইবলিস নামটিকে বিলুপ্ত করার জন্য একই চত্বরে ফোকলোর আড্ডা কমিটি এ কাজটি করে। পরে ২০০৩ সালে ফোকলোর বিভাগে তৃতীয় বর্ষের শিার্থীরা এর সাইনবোর্ড ঝুলায়। এটি বহুল পরিচিত একটি চত্বর।
টুকিটাকি চত্বর
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রস্থল হিসেবেই টুকিটাকি চত্বর প্রতিষ্ঠিত। চারপাশের ভবন আর রাজিৈনতক নেতাকর্মীদের আনাগোনায় সব সসময়ই গমগম করে এই চত্বরটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী মুল ফটকের সামনেই এই চত্বরের অবস্থান। এখানে অবস্থিত টুকিটাকি জেনারেল স্টোরের নাম অনুসারেই এই চত্বরের নামকরণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠন বিশেষ করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের আড্ডাস্থল হিসেবেই এটি বহুল পরিচিত। তবে একেবারে ক্যাম্পাসের মাঝে অবস্থান গহবার কারণে ক্যাম্পাস চালু থাকলে তো বটেই ছুটির দিনেও শিার্থীদের ভিড় থাকে এখানে।
ভকেট চত্বর
বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে পরিচিত ও আলোচিত চত্বর ভকেট চত্বর। এই চত্বরের প্রতিষ্ঠাতা হলেন ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের মাস্টার্সের শিার্থী শাহীন। ২০০৫ সালেল ৩১ ডিসেম্বর রাতে ভকেট কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। মন্নুজান হল ও চতুর্থ কলাভবনের মাঝের এই চত্বরটি এখন অনেকটাই শিার্থীদের জন্য আতংকের স্থানে পরিচিত হয়। কিছুদিন আগেও সন্ধ্যাবেলা এই চত্বরে মোবাইল ফোন- মানিব্যাগ ছিনতাই হতো।
গণযোগাযোগ চত্বর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগের নতুন নামকরণ হয়েছে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ। তবে তাতে পরিবর্তন হয় নি এই চত্বরের নামে। আগস্ট পরবর্তী শিক-শিার্থীদের মুক্তি আন্দোলনে এই চত্বরটি থেকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালিত হয়েছে। তাই গণযোগাযোগ বিভাগের সামনের মেহগনি বাগানের ছায়ায় ঢাকা এই চত্বরটি এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
বৈশাখি চত্বর
বাংলা নববর্ষ ১৪১৩র পহেলা বৈশাখে এটি প্রতিষ্ঠিত বলে এর নাম বৈশাখি চত্বর রাখা হয়। শহীদুল্লাহ কলাভবনের মেইন গেইটের সামনে বাম পাশে এ চত্বরের অবস্থান। এ চত্বরের কোন কমিটি নেই, সবাই সক্রিয় সদস্য বলে বিবেচিত। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের মধ্যে কয়েক জন হল- রোমেল, তন্ময়, নাহিদ সুজন প্রমুখ। প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে এই চত্বরটি জমজমাট হয়ে ওঠে বাংলা বিভাগের শিক-শিার্থীদের নানা আয়োজনের অনুষ্ঠানে।
মহাকবি কালিদাস প্রাঙ্গন
সংস্কৃতের প্রাণপুরুষ মহাকবি ও সংস্কৃতজ্ঞ কালিদাস রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ চত্বরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ভাষা বিভাগের (সংস্কৃত) ২০০৫-০৬ শিা বর্ষের শিার্থীরা এই চত্বর প্রতিষ্ঠা করে। ওই বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র উত্তম কুমার জানান, মহাকবির সাহিত্যকর্ম ও জীবনকর্ম নিয়ে এখানে নিয়মিত চর্চা হয়। মহাকবি কালিদাস চত্বরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন্স কমপ্লেক্স ও ৪র্থ কলাভবনের মাঝামাঝি সোজা দনি পাশের একটি আমগাছের বাধানো চারপাশটাই এই চত্বরের স্থান।
দর্শন চত্বর
মমতাজ উদ্দিন কলাভবনের দনি পূর্ব কোনে অবস্থি এ চত্বরটি। ২০০৪-০৫ সেশনের শিার্থীরা এটির প্রতিষ্ঠাতা। কাশের ফাঁকে ফাঁকে এখানে বসেই আড্ডা জমিয়ে তোলে দর্শন বিভাগের শিার্থীরা। বিভাগের নামানুসারেই চত্বরের নামকরন করা হয়েছে বলে শিার্থীরা জানিয়েছেন।
চাচা চত্বর
শহীদুল্লাহ কলাভবনের মেইন গেটের সোজা দেিণ রাস্তার ডানপাশে আমবাগানের ঘন ছায়ায় চাচা চত্বরটি অবসি'ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে হাঁটার সময় খুব সহজেই চোখে পড়ে এটি। ‘চাচা ভাতিজার অবিরাম আড্ডা’- এ প্রতিপাদ্য ঘিরেই চাচা চত্বর প্রতিষ্ঠিত। তবে কে চাচা আর কে ভাতিজা এ ব্যাপারে কোন তথ্যই বলতে পারেন না কেউই। চাচা চত্বরে মুলত প্রেমি জুটিরাই বসেন। এরকমই কয়েকজন জানালেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিার্থীরাই এটা প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে তারা শুনেছেন।
ময়েজ চত্বর
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯৯-২০০০ সেশনের বিভিন্ন বিভাগের ১৪ জন সদস্য মিলে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠা করে ময়েজ চত্বর। সততা ও নিষ্ঠার শপথে আবদ্ধ মানুষের উপকার করার ল্েয ওই শিার্থীদের প্রতিষ্ঠা করা সংগঠন ‘ময়েজ’ এর নামানুসারেই এই চত্বরের নাম করণ হয়েছে। ‘ময়েজ’ গ্র“পের আমৃত্যু ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুর রহমান ময়েজ এবং সেক্রেটারি এম ফজলে রাব্বি পাভেল। ময়েজ গ্রুপের নিজস্ব ভাষাও আছে। একসাথে বসলে তারা সে ভাষাতে কথা বলেন। ময়েজদের বেশিরভাগই ক্যাম্পাস ছেড়ে গেছেন। ময়েজ চত্বরের আগের অবস্থাও আর নেই। কিন্তু রবীন্দ্র ভবনের মেইন গেটের সামনে ডান পাশের এই চত্বরটির নাম এখনো ফেরে শিার্থীদের মুখে মুখে।
রারু চত্বর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া স্থানীয় শিার্থীদের সংগঠন রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশন অব রাজশাহী ইউনিভার্সিটি-রারু। ময়েজ চত্বরের পূর্ব পাশে এই সংগঠনের জন্য নির্ধারিত চত্বর রারু চত্বর। বেশিরভাগ সময়ে এখানে স্থাণীয় শিার্থীরা আড্ডা দিলেও সাধারণ শিার্থীদেরও পদচারণা রয়েছে এখানে।
রোকেয়া চত্বর
কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদেরই নয়, পাশ্ববর্তী এলাকার ছেলে মেয়েদের কাছেও আগ্রহের বিষয় রোকেয়া চত্বর। ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদয়’ বলে পরিচিত পশ্চিম পাড়ায় রোকেয়া হল সংলগ্ন বটতলায় এটি অবস্থিত। হলের সামনের গোল চত্বরের নামানুসারেই লোকমুখে এটি রোকেয়া চত্বর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সন্ধ্যা বেলা এখানে ভিড় জমে উঠে বন্ধু-বান্ধব আর প্রেমিক জুটিদের আড্ডায়।
প্রেম চত্বর
মন্নুজান হলের সামনের এই চত্বরটির নাম ছিল প্রেম চত্বর। এর ওপর বর্তমানে চতুর্থ কলাভবন নির্মিত হয়েছে। এখানে প্রকাণ্ড আকৃতির আমগাছ ছিল এবং জুটিরা নিরাপদে বসে চুটিয়ে সকাল-বিকাল প্রেমের আলাপে ব্যস- থাকত। আর একারণেই এই চত্বরের নাম প্রেম চত্বর হয়েছে। তবে এখন চতুর্থ কলাভবনের পেছনের দিকের সংকুচিত স্থানটিই প্রেম চত্বর নামে ডাকে শিার্থীরা। কারণ এখানে এখনো প্রেমিক জুটিদের মন দেয়া নেয়া চলে নিরাপদেই ।মুল পাতায় যান